মোঃ ওমর ফারুক, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি:- দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০শে জানুয়ারী স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১০শে জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভেদরগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
১০ ই জানুয়ারি সন্ধ্যা নাগাদ ক্ষণগণনা শুরু হয় এরপর আতসবাজি ফোটানো হয় তারপর পরই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
১১ই জানুয়ারি সকাল ১০ টায় আনন্দ শোভাযাত্রা , সকাল ১১টায় দিন ব্যাপি বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক স্থিরচিত্র প্রদর্শনী,সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন শীর্ষক আলোচনা করা হয়।
বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ৫টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সবশেষ আতসবাজি প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত সকলের মুখে একই বানি ছিল। তারা বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করবার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা। তারা আরো বলেন, আমাদের সকলের উচিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ কে বুকে ধারন করে আমাদের রাজনীতি করা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক নেতা ছিলেন যিনি বাঙ্গালী জাতির অধিকার রক্ষায় ছাত্রজীবন থেকে আন্দোলন করে আসছেন। যে নেতার জন্ম না হলে আমারা লাল সবুজের পতাকা পেতাম। তার জীবনে তিনি কখনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেন নি। আজ ১০শে জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০শে জানুয়ারী স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজকের এই দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের দিন। আজকের এই মহান দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।